Home আরও “উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১” পেল সিনেসিস আইটি

“উইটসা গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১” পেল সিনেসিস আইটি

করোনা মহামারির সময় যখন হাসপাতালে মিলছিলোনা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা তখনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে করোনা সংক্রান্ত সেবা প্রদান করেছে স্বাস্থ্য বাতায়ন। শুধুমাত্র করোনা মহামারির এই সময়েই স্বাস্থ্য বাতায়ন থেকে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষকে সেবা প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্য বাতায়নের এসকল অবদান এবং বহুমাত্রিক ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ায় “ইনোভেটিভ ই-হেলথ সলিউশন অ্যাওয়ার্ড – প্রাইভেট সেক্টর” ক্যাটাগরিতে “উইটসা (WITSA) গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১” পেয়েছে দেশের প্রথম সারির আইসিটি প্রতিষ্ঠান “সিনেসিস আইটি লিমিটেড”। এবছর বাংলাদেশ থেকে একমাত্র সিনেসিস আইটি “ফার্স্ট প্লেস উইনার” পদক লাভ করে।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের বিশ্ব সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি “ডব্লিউসিআইটি-WCIT ২০২১”- এর তৃতীয় দিন ১৩ নভেম্বর শনিবার উইটসা মহাসচিব ড. জেমস এইচ পয়জান্টের এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি’র চেয়ারম্যান শহীদ-উল-মুনীর’র কাছ থেকে “উইটসা (WITSA) গ্লোবাল আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১” গ্রহণ করেন সিনেসিস আইটি’র ম্যনেজিং ডিরেক্টর সোহরাব আহমেদ চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনেসিস আইটি’র ডিরেক্টর আব্দুর রশিদ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার ও টিম লিড, মার্কেটিং এন্ড প্রোডাক্ট ইনোভেশন, কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আরও পড়ুন: ডিম, মুরগি ও বাচ্চার আজকের বাজারদর

‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অনন্যসাধারণ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বিশ্বের ৮০টি দেশের সংগঠন ‘ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স’ তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত ‘উইটসা ২০২১’ পুরস্কার প্রদান করে। বাংলাদেশ ছাড়াও মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মিয়ানমার, হংকং, নেপাল, তাইওয়ান, গ্রিস, রাশিয়া প্রভৃতি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোগ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের তৃতীয় দিনে শনিবার মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি, ও সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং বিসিএস সভাপতি শাহিদ-উল-মুনীর উপস্থিত ছিলেন। এদিন ই-কমার্স, সাইবার সিকিউরিটি, উইটসা অ্যাওয়ার্ড এবং প্রযুক্তি ব্যবসাবিষয়ক মোট ৮টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি’-এর ২৫তম আসরে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সিনেসিস আইটির ম্যনেজিং ডিরেক্টর সোহরাব আহমেদ চৌধুরী এই সম্মাননা প্রাপ্তি নিয়ে বলেন, “সিনেসিস আইটি লিমিটেড, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর সহযোগিতায় ২০১৫ সাল থেকে এই মোবাইল ভিত্তিক টেলিহেলথ সার্ভিস সেন্টার স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের সেবা দিয়ে আসছে। দেশে বিভিন রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় স্বাস্থ্য বাতায়ন সর্বদা বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করেছে। শুধুমাত্র এই কোভিড মহামারী পরিস্থিতিতে, স্বাস্থ্য বাতায়ন প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা সরবরাহ করেছে যেখানে প্রায় ৯০% পরিষেবাগুলি কোভিড-১৯ সমস্যা সম্পর্কিত ছিল। সিনেসিস আইটি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের এই মহৎ উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য WITSA এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সর্বশেষে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই স্বাস্থ্য বাতায়নের সকল ডাক্তারবৃন্দকে যারা শুরু থেকেই অবিরাম এবং আবেগের সাথে রাত দিন এই মহৎ সেবা প্রদান করে আসছে”।

ই-স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি বর্তমানে সিনেসিস আইটি বাংলাদেশ সরকারের ১৫০টিরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে কাজ করছে এবং জাতীয় পর্যায়ে ২৫ টিরও অধিক কমিউনিকেশন সেন্টার পরিচালনা করে যাচ্ছে সিনেসিস আইটি। এসব প্রজেক্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, এনইআইআর, সিবিভিএমপি, ই-টিন, একপে, ওয়াসা লিংক ১৬১৬২, ইএফডিএমএস, ই-স্টাইপেনড, অনলাইন জিডি, এমপিও অটোমেশন, জিইআরপি, ইএমআইএস ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩, কোভিড ১৯ টেলি হেলথ সেন্টার, সুখী পরিবার ১৭৬৭৬, প্রবাস বন্ধু, স্বাস্থ্য সেবার হেল্পলাইন ৭৮৯, মাইন্ড টেল ৭৮৯৯ সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের। ইতোমধ্যে সিনেসিস আইটি মোবাইল হেলথ অ্যান্ড টেলিহেলথ সেবার মাধ্যমে প্রায় ৫.৫ কোটিরও বেশি মানুষকে এবং শুধুমাত্র করোনাকালীনে ১.৩০ কোটি মানুষকে সেবা দেওয়ায় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ টেলিহেলথ সেবাপ্রদানকারি সংস্থা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। তাছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিনিয়তই কাজ করে যাচ্ছে সিনেসিস আইটি।

বিজনেস/এম.আর