নিয়ন্ত্রণে আসতে যাচ্ছে ভোজ্য তেলের দাম। ক্রমাগত বাড়তে থাকা ভোজ্য তেলের দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখতে ভ্যাট ও আগাম কর কমানোর প্রস্তাব করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সূত্র জানায়, এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে ভোজ্য তেলের দাম ভোক্তা পর্যায়ে লিটারে ১০ টাকা করে কমতে পারে। এর ফলে ভোক্তারা কিছুটা হলেও রেহাই পাবেন।
এদিকে,এনবিআরের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, এসব প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে ভ্যাট বিভাগ। এ বিষয়ে সহসা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে ভ্যাট বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ভ্যাট ছাড় দেওয়া হলে, তা ভোক্তার কাছে যাবে কিনা—সেটি নিশ্চিত নই। তবুও ইস্যুটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে গত প্রায় আড়াই মাস ধরে হুহু করে বাড়ছে ভোজ্য তেলের দাম। গত আড়াই মাস আগে বোতলজাত তেলের দাম লিটারে ৯৫ থেকে ১০৩ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে অন্তত ১৪০ টাকায়। খোলা তেল আড়াই মাস আগে ৯৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারের ভ্যাট আদায়ও বাড়ছে। কিন্তু এর পুরো চাপ যাচ্ছে সাধারণ ভোক্তার ওপর।
অন্যদিকে,আগামী রমজানেও ভোজ্য তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এ পরিস্থিতিতে ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের তরফ থেকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন ভোক্তাদের প্রতিনিধিরাও। তবে এ সুযোগ যাতে ভোক্তার কাছে যায়, তাও নিশ্চিত করার দাবি তাদের। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সহসভাপতি এস এম নাজির হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, ভ্যাট কমানোর এ প্রস্তাব সমর্থন করি। তবে তা যাতে ভোক্তার কাছে যায়। এজন্য সরকারের শক্ত মনিটরিং থাকতে হবে। অন্যথায় কোনো লাভ হবে না। আমরা অতীতে দেখেছি, চালের শুল্ক কমানো হয়েছে। কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে দাম কমেনি।
বিজনেস/রনি