Home আরও বাজেটে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, এখনও আশা বেসিসের

বাজেটে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, এখনও আশা বেসিসের

এবারের বাজেটে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার হতাশা জানালেও  এখনও আশাবাদী যে সরকার তাদের দাবি পুনর্বিবেচনা করবে। সফটওয়্যার খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বেসিস নেতারা শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

নতুন বাজেটে দাবির বিপরীতে বলতে গেলে কিছুই পায়নি দেশের সফটওয়্যার খাতের উদ্যোক্তারা। অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের এ সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, আইটি ট্রেইনিং এবং ইন্টারনেট সার্ভিসের সংজ্ঞাভুক্ত করা হয়নি। সাইবার সিকিউরিটি সফটওয়্যারের শুল্ক হার কমানোর প্রস্তাব ছিলো। তাছাড়া কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদের বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতির অ্যাকশন আইটেম হিসেবে কর অব্যাহতির সময়সীমা আগামী ২০৩০ পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছিল তাও বিবেচনা করা হয়নি ।

সাংবাদ সম্মেলনে বেসিস নেতারা জানান, স্বাধীনতার ৫০তম বছরে বাংলাদেশকে একটি টেকনিক্যান অ্যাসিসট্যান্স প্রদানকারী দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে ব্র্যান্ডিং এবং বাংলাদেশের বেসরকারি আইটি ইন্ডাস্ট্রির বাজার সম্প্রসারণে উন্নয়নশীর দেশগুলোতে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্টের জন্য ৫০০ কোটি টাকা এবং নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৩০০ কোটি টাকার একটি তহবিল রাখার প্রস্তাব ছিলো। যাতে নারী উদ্যোক্তাগণ ২% সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন। বাজেটে এ প্রকল্প সম্পর্কে বা আইটি উদ্যোক্তা সৃষ্টির কথা থাকলেও এটি স্পষ্টভাবে উল্লেখিত নেই।

‘অপরদিকে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে প্রায় ৯৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যদিও এর মধ্যে কতখানি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বরাদ্দ তা স্পষ্ট নয়। কোভিড পরিস্থিতিতে বেসরকারি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি বাজার সৃষ্টি এবং সরকারের ডিজিটাইজেশনে বাজেটে কোনো সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই।’ বলছিলেন বেসিস নেতারা।

তারা ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসাকে উৎস কর বা অগ্রিম আয়কর ও অগ্রিম মূসক এর আওতামুক্ত রাখার জন্য জোর দাবি জানান । অন্যদিকে আইটি ও আইটিইএস এর কর্পোরেট ট্যাক্স ২০২৪ সাল পর্যন্ত মওকুফ থাকলেও এ খাতে রপ্তানি আয়ের উপর সরকার প্রদত্ত নগদ প্রণোদণার উপর ১০% উৎস কর কর্তন করা হচ্ছে। এটার ছাড়ের কথা বলেন তারা।

বেসিস নেতারা তথ্যপ্রযুক্তি উদোক্তা ও বিদেশে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার (বিএনডিএ) প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে ইন্টার-অপারেবিলিটির প্রতি বাজেটে গুরুত্বারোপকে স্বাগত জানান। একইসাথে ক্লােইড সার্ভিস, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ই-লার্নিং প্লাটফর্ম, ই-বুক পাবলিকেশনস, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলমেন্ট সার্ভিস, আইটি ফ্রিল্যান্সিংকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতির সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। সরকারের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলে বলেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন ও রাশাদ কবির।

বিজনেস/এমআর