Home নবীণ উদ্যোক্তা আগামীতে কর্মসংস্থানের বড় খাত হবে ই-কমার্স

আগামীতে কর্মসংস্থানের বড় খাত হবে ই-কমার্স

আগামীতে ই-কমার্স হতে যাচ্ছে কেনাকাটা করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। এত দিন না বুঝলেও করোনার কারণে আমরা বুঝতে পেরেছি ই-কমার্সের গুরুত্ব কতটা বিশাল। দেশের ই-কমার্স সেক্টর দ্রুত বড় হলেও এখনো ই-কমার্সে কাজ করার মতো দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মীর সংখ্যা অত্যন্ত কম বলে জানিয়েছেন ক্যারিয়ার ইন ই-কমার্স আয়োজনের আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ্।

শনিবার (২৭ মার্চ) ই-কমার্স সেক্টরে চাকরির সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘ক্যারিয়ার ইন ই-কমার্স’ নামক দিনব্যাপী এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন ই-কমার্স খাতের অভিজ্ঞ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা।

তারুণদের সংগঠন ইয়ুথ ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে সারাদেশ থেকে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী এবং ই-কমার্স পেশাজীবী অংশ নেন। এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিল ক্রমবর্ধমান ই-কমার্স সেক্টরে চাকরির সুযোগ, সম্ভাবনা এবং ই-কমার্সে উদ্যোগ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য দিকনির্দেশনা।

ক্যারিয়ার ইন ই-কমার্স অনুষ্ঠানে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) পরিচালক আসিফ আহনাফ বলেন, এ খাত সম্প্রসারণের সুযোগ অনেক। তবে শুরুতে ছোট উদ্যোক্তাদের ট্যাক্স, ভ্যাটের জটিলতায় না ফেলে সহজ নীতি সহায়তা দেয়া উচিত।

তিনি বলেন, ডিজিটাল কমার্সের উদ্যোক্তা যাদের বার্ষিক টার্নওভার এক কোটি টাকার কম তাদের কর অব্যাহতি দেয়া যেতে পারে। এফ কমার্সের উদ্যোক্তাদের নিজস্ব আবাসিক ঠিকানার বিপরীতেই খুবই কম খরচে ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে।

বেসিসের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, করোনার মধ্যে অনলাইন বেচাকেনা অনেক বেড়েছে। আগে যারা কিনত না, তারাও অনলাইনে যুক্ত হয়েছে। তাদের এ অভ্যাস ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। সে সুযোগ উদ্যোক্তারা নিতে চাইলে, তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। বাজারে আস্থার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষায় মনোযোগী হতে হবে।

এ সময় উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে তরুণদের। বাংলাদেশের বাজার অনেক বড়। এখানেও বিশ্বমানের ইকমার্স প্ল্যাটফরম গড়ে উঠতে পারে।

ই-ক্লাব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষাকে অবহেলা করা যাবে না। অবশ্যই স্নাতক পর্যন্ত লেখাপড়ার পাশাপাশি ই-কমার্স খাতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশিপ করে তারপর ব্যবসা বা চাকরিতে প্রবেশ করা উচিত। তাহলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।

সম্মেলনে বক্তারা ই-কমার্স সেক্টরে তাদের অভিজ্ঞতা, এখাতে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও দক্ষ কর্মীর গুণাবলি, ই-কমার্সের বিভিন্ন অংশ-বিজনেস ডেভেলপমেন্ট, লজিস্টিক, ডেলিভেরি, কাস্টমার সার্ভিস, মার্কেটিং, জনসংযোগসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন শিক্ষার্থীদের সামনে।

উল্লেখ্য, ক্যারিয়ার ইন ই-কমার্স অনুষ্টানের আয়োজক ইয়ুথ ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত তারুণ্যনির্ভর সংগঠন। ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে ইতোমধ্যেই ৩০ এর অধিক তারুণ্য ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সেমিনার এবং ইভেন্ট আয়োজন করেছে এ সংগঠন।

আগামী ৩ এপ্রিল কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট এ ‘ন্যাশনাল ইয়ুথ ক্যারিয়ার কার্নিভাল’ নামে ক্যারিয়ার বিষয়ক আরেকটি অনুষ্ঠান আয়োজন করবে ইয়ুথ ক্যারিয়ার ইনস্টিটিউ।

বিজনেস/এমর