খাদ্য দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির পর এখন বাড়ছে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত জিনিস পত্রের দাম। এতে নাজেহাল হয়ে পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষ।
গত ২ মাসের ব্যবধানে কাপড় ধোয়া পাওডার রিং এর দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১৬ টাকা। একই সাথে হুইল গুড়ো সাবানের দামও বেড়েছে ১৬ টাকা। তাছাড়া এক মাসের ব্যবধানে বড় সাইজের একটি লাক্স সাবানের দাম ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা। দেড় মাসের ব্যবধানে বড় সাইজের পেস্টের দাম। ক্লোজ আপ পেস্টে বেড়েছে ১০টাকা, কোলগেটে বেড়েছে ২০ টাকা।
ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় খুচরা মুদি দোকানদার ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল আটাশ প্রতি কেজিতে ৫টাকা বেড়েছে। গত দুই-তিন মাস আগে আটা, তেল, চিনি এসব পণ্যের দাম ধাপে ধাপে বেড়েছে। বর্তমানে ২ কেজি আটার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, যা ২ মাস আগে ছিল ৬৫ টাকা। ৫ লিটারের সয়াবিন এখন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, ৫ লিটারের সয়াবিন তেল ২ মাস আগেও ছিল ৫২৮ টাকা। প্রতি কেজি প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায় যা ৩ মাস আগে ছিল ৭৫ টাকা।
পরিবাগের বাশিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, ধীরে ধীরে সব পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ বাজারে গেলে বিপদে পরে যায়। তিনি আরও বলেন, ‘আয় আগের মতো আছে, কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন বাজার খরচ বেড়ে গেছে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কিছু দিন পরপর জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত সঠিক ভাবে বাজার তদারকি করে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
বিজনেস/এম.আর