নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই লাগামহীন। চাল, ডাল, তেল, আটার বাইরে আলাদা করে অন্য কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনাও কম। আর এই ফাঁকে নীরবে দাম বাড়ছে আরেক অত্যাবশ্যক পণ্য চিনির।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাসের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। ৮০ টাকা কেজির খোলা চিনি এখন ৯০ টাকা। আর ৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে প্যাকেটজাত চিনি।
এ অবস্থায় অত্যাবশ্যক ৯টি পণ্যের অংশ হিসেবে চিনির দামও বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
চিনির দাম বাড়ানোর জন্য ট্যারিফ কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলেও ব্যবসায়ীরা বসে নেই। বাজারে চিনির সরবরাহে ঘাটতি তৈরি করে তারা বাড়িয়ে চলেছে দাম।
বাজারদর
রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম এখন ৮৩ টাকা। দুই দিন আগে তা ছিল ৮৪ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ৮০ টাকার মধ্যে ছিল চিনির দাম। দুই মাস আগে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৭২ টাকায়।
তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ৯০ টাকায় উঠে গেছে। কারওয়ান বাজারে খোলা চিনির কেজি ৯০ থেকে ৯২ টাকা। আর প্যাকেট করা প্রতি কেজি চিনির দাম ৯৫ টাকার বেশি। অলিগলির দোকানে ইচ্ছামতো নেয়া হচ্ছে চিনির দাম। অনেক দোকানে চিনি মিলছে না।
দোকানিরা বলেন, ‘চাহিদামতো চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। যাও পাওয়া যাচ্ছে, দাম বেশি।’
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, ‘এক মাসের ব্যবধানে চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা।’
মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী খোকন আলী বলেন, ‘চিনি বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে ঝগড়া হয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি ক্রেতাই দাম বাড়ার কারণ জানতে চান।’