
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর অভিঘাত মোকাবেলায় ঋণ পরিশোধে আবারও সুযোগ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার গণহারে না দিয়ে ঋণের ধরণ ভেদে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেয়া হয়েছে।
গেল বছর যেসব ঋণের কিস্তি পরিশোধ এবং নবায়ন হয়নি শুধুমাত্র সেই সব ঋণের ক্ষেত্রেই নতুন এই সুবিধা পাওয়া যাবে। প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেয়া ঋণের ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য নয়।
ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল এর ক্ষেত্রে নিয়মিত সুদ পরিশোধ করলে জুন ২০২২ পর্যন্ত খেলাপিমুক্ত থাকতে পারবেন গ্রাহক। অন্যদিকে ডিমান্ড লোন পরিশোধে সময় পাওয়া যাবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ।
এছাড়া মেয়াদী বা টার্ম লোন এর ক্ষেত্রে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের সুযোগ পাবেন গ্রাহক। তবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতেই টার্ম লোনের এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন এন্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট (বিআরপিডি)।
সার্কুলারে বলা হয়, দেশের অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তাছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এর প্রভাব বাড়ায় রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন বাস্তবতায় নতুনভাবে কোডিভ-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা এবং ব্যাংকিং খাতে ঋণ প্রবাহ স্বাভাবিক করতে এই সুযোগ দেয়া হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, যেসব চলমান ঋণের (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল) মেয়াদ শেষ হয়েছে কিন্তু নবায়ন করা হয়নি, সে সব ঋণের বিপরীতে গেল বছর যে সুদ আরোপ হয়েছিল তা অনাদয়ী হলে মার্চ ২০২১ হতে জুন ২০২২ এর মধ্যে ৬টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে ওই সুদ পরিশোধ করা যাবে। এর পাশাপাশি ওই চলমান ঋণের ক্ষেত্রে জুন ২০২২ পরযন্ত যে সুদ হবে তা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নিয়মিত পরিশোধ করতেও ৩০ জুন ২০২২ তারিখ পরযন্ত সময় পাওয়া যাবে। এতে এই ধরনের ঋণ ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত খেলাপি হবে না।
বিজনেস/এমর