করোনায় একাকীত্ব হয়ে পড়ছে তরুণ-তরুণীরা। তার প্রভাব পড়ছে হতাশা কিংবা অপরাধের উপর। এজন্য পারিবারিক বন্ধনের শিথিলতা, কৌতূহল নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা না থাকাকে দুষছেন মনস্তত্ত্ববিদরা। আর সমাজতাত্ত্বিকরা বলছেন, ব্যস্ততাকে পাশ কাটিয়ে নামমাত্র অভিভাবকত্বের বদলে, সন্তানের বন্ধু হতে হবে বাবা-মাকে।
এদিকে, করোনার ফলে একাকীত্ব হয়েও তরুণ-তরুণীরা সময় কাটাচ্ছে অনলাইনে। আর এই প্রযুক্তিকে পুজিঁ করে ঘটাচ্ছে নানা অপরাধ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, প্রযুক্তি হাতের মুঠোয় আসায় সুবিধা যেমন হয়েছে, অসুবিধাও কম নয়। নিজের জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে অনেকেই একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য তুলে দিচ্ছেন অপরাধীদের হাতে।
গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ইউনিট বলছে, এমন ভূক্তভোগীর বেশিরভাগই উঠতি বয়সী তরুণী। আর এসব অপরাধীরাও বেশিরভাগ বয়সে তরুণ। ফলে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়, ভার্চুয়াল জগতে একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ছড়ানোয় তরুণীর আত্মহত্যা।
মনস্তত্ত্ববিদরা বলছেন, উঠতি বয়সীরা এমনিতেই নানা রকম ভালো-মন্দ বিষয়ে কৌতূহলী হন। যা নিয়ন্ত্রণে না থাকলেই বাড়ে অপরাধ।
সমাজতাত্ত্বিকরা বলছেন, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার তাড়নায় বাবা-মার ব্যস্ততা যতই থাকুক, সন্তানের দিকে খেয়াল রাখার বিষয়টি ভুললে চলবে না। সন্তান কি করছে, কার সাথে মিশছে, কি ভাবছে, কি পড়ছে সবই বন্ধু হয়ে জানতে হবে।
বিজনেস/এমর