Home শীর্ষ সংবাদ লকডাউনে সরকারি অফিস বন্ধের প্রভাব অর্থনীতিতে

লকডাউনে সরকারি অফিস বন্ধের প্রভাব অর্থনীতিতে

অর্থনীতি

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আবারও বাড়াল সরকার। আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে সরকারি অফিস টানা এক মাস ১১ দিন বন্ধ থাকায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্তরা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক কিছুই সরাসরি সরকারি দপ্তরসমূহের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে সরকারি দপ্তর বন্ধ থাকায় ব্যবসার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন থাকে সরকারি দপ্তরে। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অনেক প্রতিষ্ঠানের বকেয়া বিলও পাওনা রয়েছে। বিল না পাওয়ায় বেসরকারি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে পারছে না। এছাড়া ব্যাংকিং কার্যক্রমও সীমিত থাকায় সামগ্রিক অর্থনীতির স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। ক্

জনস্বাস্থ্য বিষেশজ্ঞদের মতে, লকডাউনে সরকারের অনেক ব্যয় কমছে, এটাও ঠিক। তবে পাশাপাশি জীবিকার অপরিহার্যতাও বিবেচনায় নিয়ে অর্থনীতির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ধরে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারি অফিসসমূহ খোলা রাখা-না রাখার বিষয়টি সমন্বয় করা প্রয়োজন।

মন্ত্রিপরিষদের গতকালের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোজার ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগে সরকারি অফিসসমূহ খুলছে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কারো কারো এত দিন ধারণা ছিল, ৫ মের পর থেকে ঈদের আগে হয়তো সরকারি অফিসমূহ খোলা থাকবে। সেক্ষেত্রে সরকারি অফিসে পাওনা বিলসমূহের কিছু অংশ তুলে হলেও নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দিতে পারবেন। তবে সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে ঈদের আগে নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দিতে পারা-না পারা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন অনেকে। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বলছেন, এখানে অর্থের অভাবের বিষয়টি আসছে না। সরকারি অফিস বন্ধ এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত থাকায় সঞ্চিত অর্থেরও স্বাভাবিক লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে না।

বিজনেস/এমর