Home জীবনযাপন রাজধানীর সবজি বাজারে বেড়েছে প্রান্তিক-পাইকারি ও খুচরায় বিক্রির ব্যবধান

রাজধানীর সবজি বাজারে বেড়েছে প্রান্তিক-পাইকারি ও খুচরায় বিক্রির ব্যবধান

এ যেন ইচ্ছা-স্বাধীন বাজার। ব্যবসায়ীদের খেয়াল-খুশিমতো সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম তৈরি করেছেন। দেখার যেন কেউ নেই। মাঝে মাঝে সরকারি কর্তৃপক্ষ মনিটরিং করলেও কোন ফল হচ্ছে না। হাত বদল হলেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যায় দাম।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মাত্র দুই কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি বাজারে বিভিন্ন ধরনের দামে পণ্য বিক্রি চলছে। বাজারভেদে পাইকারি ও খুচরায় ব্যবধান দাঁড়ায় দুই থেকে তিনগুণ। সে তুলনায় প্রান্তিক পর্যায়ে দাম অনেক কম।

জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা যে যার মতো যুক্তি দাঁড় করেছেন। পণ্যের দাম বেশি হওয়ার পেছনে সবাই দুষছেন পরিবহন ভাড়াকে। পাশাপাশি পাইকারি বাজারের শ্রমিক খরচ, বিভিন্ন চাঁদা, হাট কমিটির খাজনা, বোর্ড ভাড়া (পণ্য সংগ্রহের পর যেখানে স্তূপ করে রাখা হয়) মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলেও জানান তারা।

কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, পাইকারি দরে প্রতি কেজি ছোট গোল বেগুন ২০ টাকা, তাল বেগুন (কালো বড় বেগুন) ৩৬, পটল ১৪, টমেটো (দেশি) ৩৫, বরবটি ৩০, দেশি শসা ৩০, ঢেঁড়স ২২ এবং করলা বিক্রি করেছেন ২৪ থেকে ২৬ টাকায়। প্রতিটি লাউ ও জালি বিক্রি করেছেন ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।

একই সঙ্গে এ বাজারে এদিন প্রতি কেজি পাইকারি ধনেপাতা ৪০ টাকা, পুদিনাপাতা ৪৫, গাজর ২৬ থেকে ৩০, চিচিঙ্গা ও ধুন্দল ২০, ঝিঙ্গা ২২, কাঁকরোল ৫০, কচুরলতি ৩০ থেকে ৪০, দুই কেজি ওজনের মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিস ১৫ থেকে ২০ ও বড় আকৃতির মিষ্টি কুমড়া ১১ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। এছাড়া পালংশাক, লালশাক, পাটশাক ও ছোট সাদা শাক প্রতি আঁটি ৪ থেকে ৫ টাকা, পুঁইশাক প্রতি আঁটি ১৩ থেকে ১৪, বাঁধাকপি ১৮ থেকে ২০ ও ফুলকপি ২০ থেকে ২২ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাছাকাছি শান্তিনগর, হাতিরপুল ও কাঁঠালবাগান বাজার ঘুরে চোখে পড়ে দামের ব্যাপক ভিন্নতা। এই তিনটি বাজারের বিক্রেতারা কারওয়ান বাজার থেকেই পাইকারি পণ্য সংগ্রহ করে খুচরা বিক্রি করেন।

দেখা গেছে, শাক-সবজির দামের ব্যবধান পাইকারি থেকে খুচরায় দুই থেকে তিনগুণের বেশি। শান্তিনগর এবং হাতিরপুলের চেয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বেচাকেনা হয় কাঁঠালবাগান বাজারে। তা পাইকারি বাজারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

পাইকারির তুলনায় এ তিনটি বাজারে খুচরা দরে পণ্যের দামের তারতম্য তালিকা দেওয়া হলো-

সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেন। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে দাম কমে আসবে।

অন্যদিকে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিদিনই বাজার তদারকি করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সোমবার সারাদেশে ১৭৬টি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা জানান, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বাজারে তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিজনেস/এমর