Home শীর্ষ সংবাদ দেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত, যেকোনো সময় আবার মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ

দেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট শনাক্ত, যেকোনো সময় আবার মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ

ঈদের পরে সংক্রমণ তীব্র হওয়ার শঙ্কা

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গ ঈদের কেনাকাটা ও গ্রামের যাওয়ার উদ্দেশে যে ঢল নেমেছে লাখো মানুষের, এতে আতঙ্কিত হয়ে বারবার সতর্ক করে চলছে সরকার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বেশি সতর্ক করা হচ্ছিল প্রতিবেশী ভারতে সংক্রমিত ভারতীয় ভেরিয়েন্টের বিষয়ে। বলা হচ্ছিল এই ভেরিয়েন্ট দেশে ঢুকলে বিপদ অনেক বেশি হবে। বলতে বলতেই ভারতীয় ভেরিয়েন্ট এরই মধ্যে ঢুকে পড়েছে দেশে। এমন পরিস্থিতির মুখে যেকোনো সময় আবার মার্কেট ও দোকানপাট সব বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে। জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটির নেতারাও সরকারকে এমন পরামর্শ দিতে যাচ্ছেন।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনার ভিত্তিতে দেশে চলছে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতি। জীবন-জীবিকার স্বার্থে শর্ত সাপেক্ষে কিছুটা শিথিল পদক্ষেপও রাখা হয়েছে। এক জেলা থেকে যাতে অন্য জেলায় সংক্রমণ ছড়াতে না পারে সে জন্য দূরপাল্লার জনবহুল যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। দেশের বাইরে থেকে দেশে সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যে সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ও পরিবহন সেক্টরের দাবির মুখে মার্কেট-দোকানপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। চালু করা হয়েছে জেলা বা মহানগরীর ভেতরে গণপরিবহন।

তাতেও ক্ষান্ত হচ্ছেন না পরিবহন সেক্টরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। রীতিমতো হুমকি-ধমকি দিয়ে বাকি সব পরিবহন চালুর জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। পরিস্থিতির মুখে একদিকে অসহায় হয়ে পড়েছেন দেশের স্বাস্থ্য প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সবাই হতবাক মানুষের অসচেতন ও বেপরোয়া আচরণে। প্রতিদিন বারবার নানাভাবে সতর্ক করলেও কেউ যেন কথা কানে দিচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি, সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবাই বলছেন সতর্ক না হলে ঈদের পরে চরম খারাপ পরিণতি ঘটতে পারে। আগের চেয়েও চূড়ায় উঠে যেতে পারে সংক্রমণ, লাফিয়ে উঠতে পারে মৃত্যু, যা সামাল দেওয়ার সক্ষমতা বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেরও নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। সংক্রমণ ঠেকাতে হলে মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া এবং টিকা দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এ

এদিকে দেশে ঈদ মার্কেটিং ও বাড়িমুখে মানুষের ভিড় দেখে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, যা দেখছি—খুবই দুঃখজনক। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ঈদের পড়ে সংক্রমণ, মৃত্যু ঠেকানো বা হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।

সরকারের সর্বোচ্চ পরামর্শক কমিটির ওই চেয়ারম্যান বলেন, এখন প্রয়োজনে আবার সব কিছু বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা সরকারকে সেই পরামর্শ দেবো। কারণ ইতিমধ্যেই দেশে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ঢুকে পড়েছে। এটা যুক্তরাজ্য, চীন, ইতালি কিংবা সাউথ আফ্রিকান ভেরিয়েন্টের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত ছড়াতে সক্ষম। তিনি বলেন, আমরা খুবই উদ্বিগ্ন ঈদের পরের কি পরিণতি হবে সেই আশংকায়।

বিজনেস/এমর