দেশে নমুনা পরীক্ষা বাড়লেই রোগীর সংখ্যা বাড়ে আবার নমুনা পরীক্ষা কম হলে শনাক্ত কম হচ্ছে। ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৩৪,৬৩০ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭,৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত একদিন সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। টেস্টের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি হলেই দৈনিক শনাক্ত ৭ হাজারের বেশি হচ্ছে।
আবার টেস্ট কমলে রোগীর সংখ্যা অনেক কমে যাচ্ছে। ১৬ এপ্রিল ১৮,৯০৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪,৪২৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেস্ট কম হওয়ায় দেশে আসলে কত রোগী আছে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছেনা।
এদিকে লকডাউনে টেস্টের হার আরও কমেছে। গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় কোভিড টেস্ট হয়েছে ২৪,৮২৫টি, আগের দিন যার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৯৯৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর শুক্রবার সেটি ১৮,৯০৬ নেমে এসেছে। গতকাল রোববার দেশের ৪৫৯টি ল্যাবে ৫,৪৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গতকাল শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩৬৩।
লকডাউন শেষে ঢাকার বাইরে থেকে যখন সবাই ফিরবে তখন টেস্টের চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করেন ডা. জাহিদুর রহমান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, দেশে দিনে ৫০ হাজার করোনা টেস্ট করার সক্ষমতা আছে। আমাদের কোন কিট সংকট নেই। ঢাকার হাসপাতালগুলোতেও এখন অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। মানুষ টেস্ট করতে না আসলে তো কিছু করার নেই। যাদের লক্ষণ আছে তারা টেস্ট করাচ্ছেন। যাদের প্রয়োজন হবে টেস্ট করাতে আসলেই আমরা টেস্ট করবো।