নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদনে কঠোর হচ্ছে সরকার। প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লাইব্রেরি এবং নির্ধারিত নিজস্ব জমি থাকাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রাথমিক অনুমোদন দেবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। এরপর পাঠদান, একাডেমিক স্বীকৃতি, বিষয় এবং বিভাগ খোলার অনুমোদন দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, পাঠদান এবং একাডেমিক স্বীকৃতি, বিষয় ও বিভাগ খোলা সংক্রান্ত নীতিমালা কঠোর ও যুগোপযোগী করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেয় সরকার। দেশের শিক্ষার মানচিত্র অনুযায়ী প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) সংখ্যা অনেক বেশি। প্রয়োজন না থাকলেও প্রভাবশালীদের তদবির এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় গড়ে উঠেছে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক- ২) মোমিনুল রশিদ আমিন বলেন, ‘বর্তমান যে নীতিমালাটি আছে সেটি ১৯৯৭ সালের। ফলে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের স্বীকৃতি দিতে গিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এটিকে যুগোপযোগী করা হচ্ছে।’
ইতোমধ্যে এ সুযোগে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী মতাদর্শের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তাছাড়া মানহীন, অনুমোদনহীন ও সমন্বয়হীন স্কুল-কলেজে দেশ ছেয়ে যাচ্ছে। এ প্রবণতা ঠেকাতে ‘আগে অনুমোদন, পরে স্থাপন’ নীতি কার্যকর করতে চাইছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া, প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রেও নানা অনিয়মের প্রমাণ রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে। এসব বিষয় দুদক পর্যন্ত গড়ানোরও ইতিহাস রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘নীতিমালাটির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সেটির বাস্তবতা যাচাই করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি কার্যকর করা হবে।’
বিজনেস/এমর