আগামী বছরে আয়করে থাকছে ছাড়ের ছড়াছড়ি। ব্যক্তিকে তেমন ছাড় দেয়া না হলেও, বহু সুযোগ থাকছে ব্যবসায়ীদের জন্য। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সরকার। এজন্য ব্যবসায়ীদের মনোবল বাড়াতে দেয়া হচ্ছে ছাড়।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করপোরেট কর কমছে আড়াই শতাংশ। মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির করপোরেট কর হচ্ছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মতোই। এক ব্যক্তির কোম্পানির করপোরেট কর হচ্ছে ২৫ শতাংশ। এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আয়কর যুক্ত হচ্ছে বাজেটে। তবে ১০০ জনের বেশি তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিককে চাকরি দিলে করপোরেট করে ছাড় ৫ শতাংশ। এছাড়া ব্যক্তি করদাতার ব্যবসায়ীক টার্নওভার কর অর্ধেক হচ্ছে।
অতি ধনীর সম্পদে সারচার্জ বাড়ছে ৫ শতাংশ। বাতিল হচ্ছে ন্যুন্যতম করের বিধান। স্তর কমছে সারচার্জ আদায়ের। মৎস খামার থেকে আয় ৩০ লাখ টাকার বেশি হলে কর বাড়বে ৫ শতাংশ।
সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল ও সমুদ্রগামী জাহাজের আমদানিতে উৎসে কর কমছে ১ শতাংশ। ফল, মদ, পারফিউম আমদানিতে কর বাড়ছে। সিমেন্ট, লোহা ও লোহা জাতীয় পণ্যের সরবরাহ পর্যায়ে উৎসে কর বাড়ছে। নিলামে পণ্য কেনার করও বাড়ছে। উৎসে করে ছাড় পাচ্ছেন অনিবাসীর ঠিকাদার।
দুই লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে অথবা পোস্ট অফিসে ডিপজিট করতে কর নিবন্ধন নম্বর- ইটিআইএন লাগবে না। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে উৎসে কর কর্তনকারী কর্তৃপক্ষ।
আইটি ফ্রি ল্যান্সিংসহ ছয় সেবা করমুক্ত হচ্ছে। অটোমোবাইল শিল্পে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে ২০ বছর করছাড়। ১০ বছরের কর ছাড় মিলবে হোম এল্পায়েন্সে মেড ইন বাংলাদেশ, কৃষি শিল্প, মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, হার্ডওয়ার, ঢাকাসহ চার শহরের বাইরের হাসপাতালে।
নারী উদ্যোক্তার কোম্পানিতেও বাড়ছে করছাড়। ইসলামি বন্ড কেনাতেও মিলবে কর ছাড়। তবে ভবন নির্মাণে অবচয় সুবিধা কমবে।
অর্থনীতি আনুষ্ঠানিক করতে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ব্যাংকিং লেনদেন। ১৫ হাজার টাকার বেশি বেতন, যে কোনো পরিমাণ বাড়িভাড়া এবং যে কোনো ব্যয় ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে ব্যাংকে লেনদেন করতে হবে।
বিজনেস/এমর