থেইলস (৬৭%) এবং লিওনার্দোর (৩৩%) যৌথ উদ্যোগ থেইলস অ্যালেনিয়া স্পেস বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি (বিএসএমআরএএইউ) এবং স্কুল অব অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অব লা সাপিয়েনজা ইউনিভার্সিটি অব রোমের (এসআইএ) মধ্যে শিক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) গত ২৯ মে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বিএসএমআরএএইউ বাংলাদেশে প্রথম অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি হিসেবে তাদের ভিত্তি গড়ে নিয়েছে, আর এসআইএ প্রায় শতবর্ষ পুরোনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এবং অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে এটি শিক্ষাদানের কাজ করছে গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে। থেইলস অ্যালেনিয়া স্পেস ইউরোপে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটভিত্তিক ব্যবস্থার নকশা ও নির্মাণকাজে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে ৫০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, আর প্রযুক্তি ও দক্ষতা বিনিময় পরিকল্পনার মাধ্যমে স্থানীয় সামর্থ্য বৃদ্ধিতে তাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য রয়েছে। থেইলস অ্যালেনিয়া স্পেস বিভিন্ন উদ্যোগে এসআইএর সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে কাজ করেছে যার মধ্যে ধরিত্রী পর্যবেক্ষণের (আর্থ অবজার্ভেশন) ক্ষেত্রে স্থানীয় সামর্থ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা সযোগিতা প্রকল্পও ছিল। এছাড়া থেইলস অ্যালেনিয়া স্পেস বাংলাদেশের প্রথম জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশনস ও ব্রডকাস্টিং স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর প্রদানকারী হিসেবে কাজ করছে।
সমঝোতা স্মারকটির (এমওইউ) লক্ষ্য হবে মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষণ, শিক্ষকতা এবং গবেষণা ও উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন এবং সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ। অ্যাভিয়েশন এবং অ্যারোস্পেস শিক্ষায় গুণগত মানসম্পন্ন সেবা প্রদান এবং বাংলাদেশে ক্ষেত্রটির সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করাই এই সমঝোতার লক্ষ্য।
‘থেইলস অ্যালেনিয়া স্পেস শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় জোরালোভাবে বিশ্বাস করে। ভবিষ্যতের মহাকাশ প্রকল্পসমূহের জন্য স্থানীয় সামর্থ্য বৃদ্ধি এবং স্থানীয় শিল্প যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি হিসেবে এ ধরনের সহযোগিতা কার্যকর হতে পারে,’ – বলে উল্লেখ করেন জিওর্জিও স্পাদা। ‘এই রোডম্যাপ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং সবাইকে জানানো হয়েছে। এটি একটি স্থানীয় সামর্থ্য বৃদ্ধির পথ দেখাবে, একটি শিক্ষা অংশীদারির সহায়তা পাবে যাতে করে মহাকাশ অবকাঠামোর একটি গতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত হয় এবং ধরিত্রী পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রাধিকারগুলো গুরুত্ব পায়।’
‘এই এমওইউ ইতালি ও বাংলাদেশের মহাকাশ এবং অ্যারোস্পেস ডোমেইনে নতুনত্ব আনয়ন ও ধারনা বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সহায়তাকে জোরদার করবে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট প্রদানের মাধ্যমে থেইলস আরেকটি অবিষ্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে, যেহেতু আমরা বাংলাদেশের অব্যাহত মহাকাশ প্রকল্পে সহযোগিতা দিয়ে আসছি’, বলেন থেইলস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বেনোয়াট নালিন।