অফিস- আদালতে কিংবা যে কোনো প্রতিষ্ঠানে যে কেউ যেকোনো সময়ে ঢুকে পড়তে পারে না। কেননা এতে প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ক্ষুন্ন হয়। কিন্তু আধুনিক সময়ে এক্সেস কন্ট্রোল ডিভাইস থাকার কারণে এটা শুধুমাত্র যাদেরকে এক্সেস দিবে শুধুমাত্র তারাই প্রবেশ করতে পারবে। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়। এবার চলুন এক্সেস কন্ট্রোল সম্পর্কে কিছু তথ্য নিম্নে তুলে ধরা হ’লঃ-
এক্সেস কন্ট্রোল কি?
এক্সেস কন্ট্রোল হলো উন্নতমানের আধুনিক বলয়ে তৈরি একটি নিরাপত্তা পদ্ধতি। এর মাধ্যমে কোনো স্থানে অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো প্রবেশ করাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। বর্তমানে অফিস,বাসা,শপিং মল,গার্মেন্টস,হসপিটাল থেকে শুরু করে প্রত্যেক দরকারি স্থানে এর বহুমুখি ব্যবহার রয়েছে।
শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন নামক যন্ত্র মূলত একটি শক্ত নিরাপত্তা প্রদান করতে সহায়তা করে। সাধারনত এই সিস্টেমটি সম্পূর্ণ কন্ট্রোল করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। তাই সেখানে ব্যাবহার করা হয় অত্যাধুনিক সফটওয়্যর। এই এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার যন্ত্রটি যতটা শক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ঠিক ততোটাই সহজ ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেয়।
এক্সেস কন্ট্রোল যেসব উপাদানের মাধ্যমে কাজ করেঃ
✓পাসওয়ার্ড, পিন বা কোড।
✓স্মার্ট কার্ড।
✓বায়োমেট্রিক বা ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার
✓ফেস ডিটেকশন।
✓রেটিনা স্ক্যান।
✓ডোর লক
এসব উপায় ব্যবহার করে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করে একটি প্রতিষ্ঠান তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পারে। এগুলো মধ্যে বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক ডোর লক বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।
যেসব স্থানে ব্যবহার করা হয়:
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নিরাপত্তার জন্য একেক ধরনের এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে। ভৌগলিক ভাবে এই এক্সেস কন্ট্রোল বিষয়টার জন্ম বহু আগেই। প্রাথমিক ভাবে এটি ব্যবহার করা হতো বর্ডার গার্ড, বাউন্সার, টিকেট চেকারদের জন্য। কিন্তু এখন এটি সর্বত্রই প্রচলিত।
যেসব প্রতিষ্ঠানে এই সিস্টেম ব্যবহৃত হয় সেগুলো হলো:-
✓অফিস
✓আবাসিক হোটেল
✓ফ্ল্যাট এবং অ্যাপার্টমেন্ট
✓ক্রীড়া সুবিধা এবং অবকাশ কেন্দ্র
✓খুচরা দোকান
✓বিভিন্ন ধরনের শোরুম
✓হাসপাতাল ও ক্লিনিক
✓শিল্পকারখানা
✓গুদামজাতকরণ অফিস
✓বাসাবাড়ি
এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেমের সুবিধা:
এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।এর প্রধান কয়েকটি সুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো-
- অর্থ সাশ্রয় করে: এই সিস্টেম ব্যবহারের ফলে আলাদা কোনো নিরাপত্তা রক্ষীর দরকার হয় না। এই ডিভাইস স্বয়ংক্রীয়ভাবে কারো পরিচয় শনাক্ত করে নিতে পারে। যার মাধ্যমে খরচ অনেকটা কমে যায়।
- অবাঞ্চিত মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করে: এই সিস্টেম ব্যবহার করলে কোনো অননুমোদিত ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারে না।কারণ এর সিস্টেমে প্রবেশ করতে হলে প্রমান দরকার হয়।
- ডেটা সংরক্ষিত থাকে:এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম আইটি রুম এবং পৃথক কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কগুলিতে এক্সেস সীমাবদ্ধ করে এই তথ্যগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে পারে, তাই শুধুমাত্র নির্ধারিত ব্যক্তিরাই সেগুলো এক্সেস করতে পারে।
- চুরি হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়:এক্সেস সীমাবদ্ধ করার মাধ্যমে শুধুমাত্র বিশ্বস্ত ব্যক্তিরা এক্সেস করতে পারে।আর যেহেতু কর্মচারীরা জানেন যে তাদের আগমন এবং প্রস্থান ট্র্যাক করা হয় তাই তারা কোনোকিছু চুরি করা থেকেও বিরত থাকতে পারে।
এভাবে এই সিস্টেমটি ছোট বড় সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কাজ করে যাচ্ছে । এই সকল সিকিউরিটি ডিভাইস এর দাম বিডিস্টল থেকে জেনে নিতে পারবেন।